লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে উঁচু ভূমিতে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি শিম চাষ করেছেন চাষিরা। বর্তমানে থোকা থোকা রঙিন ফুলে সেজেছে শিমের ক্ষেত। শীতের মৃদু বাতাসে শিমের সঙ্গে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।
চাষিরা জানান, শুধু সবজি নয়, বীজ হিসেবেও বাজারে বেশ কদর আছে শিমের। বিভিন্ন সিড কোম্পানি আগাম চাষি নির্বাচন করে তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পরে উৎপাদিত বীজ সেই কোম্পানি চাষিদের কাছ থেকে কিনে সংরক্ষণ করে বাজারজাত করে।
কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের দুহুলী গ্রামের চাষি আবুল বাসার ২৫ শতাংশ জমিতে শিম আবাদ করেছেন। এতে তার খরচ পড়েছে ১৩ হাজার টাকা। তার ক্ষেতে প্রতি সপ্তাহে ৬ থেকে ৮ মণ শিম উঠছে। এটি চলবে আরও দুই মাস। বর্তমান বাজারে শিমের চাহিদা ভালো থাকায় দামও ভালো পাচ্ছেন। ক্ষেতেই প্রতি কেজি ৩৫/৪০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছেন।
বাদল মিয়া নামে আরেক চাষি বলেন, মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ৩০ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করেছি। প্রতি সপ্তাহে ৭ মণ শিম বিক্রি করছি। উৎপাদন খরচ উঠেছে। এখন শুধু মাঝেমধ্যে স্প্রে করা আর শিম তুলে বাজারে বিক্রি করতে হবে। গত বছর এ জমি থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় হয়েছে। এ বছর দাম ভালো থাকায় দ্বিগুণ লাভের আশা করছি।
সোনারহাট এলাকার চাষি সামাদ মিয়া জানান, উঁচু জমিতে ধান চাষ করে তেমন মুনাফা না আসায় চাষাবাদ ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করেছিলেন। হঠাৎ এক আত্মীয়ের পরামর্শে ২ বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে ১০ শতাংশ জমিতে শিমের চাষ করে বেশ লাভবান হন তিনি। চলতি মৌসুমে প্রায় ৪০ শতাংশ জমিতে শিমের চাষ করেছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি জানান, শিম প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি সবজি। এর বিচিও সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। তাই দেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শিমের ফলন ভালো হয়েছে। শিম চাষিরা বেশ লাভবান হবেন বলেও আশা করেন তিনি।